‘জয়ন্তিকা বালককে দেখছে। একটা মানুষকে ঘুমালে যে এতটা নিস্পাপ লাগে, বালককে না দেখলে কখনাে জানা হতাে না তার। পৃথিবীর সব থেকে জেদি, একগুঁয়ে আর বুদ্ধিমান। ছেলেটাকেও যে ঘুমের ঘােরে একদম সদ্যজাত শিশুর মতাে দেবদূত লাগতে পারে, তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করত না। এ মুহূর্তে জগতের সব মায়া যেন এসে ভর করেছে বালকের চেহারায়। জয়ন্তিকা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল; এ মায়া থেকে যে চোখ ফেরানাে দায়…’ পঁচিশ বছর পর তারা মুখােমুখি জয়ন্তিকা ও তার বালক। পঁচিশ বছরে জগত-সংসারের অনেক কিছু বদলে গেলেও তাদের ভালােবাসার রং যেন ঠিক আগের মতােই আছে। জয়ন্তিকা ও তার বালক দজনেরই বয়স হয়েছে, অভিজ্ঞতা বেড়েছে, কিন্তু দুজন দুজনের সান্নিধ্যে এসে যেন পঁচিশ বছর আগের সেই কিশাের-কিশােরীর রূপে ফিরে যায়। এত বছর পর তারা যখন পরস্পরের কাছাকাছি এলাে, তখন পুরনাে স্মৃতি রােমন্থন করতে করতে একে একে বেরিয়ে এলাে জয়ন্তিকার জীবনের নির্মম পরিহাসের গল্প ।
There are no reviews yet.